সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন

News Headline :
রাজশাহী মহানগরীতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আ’লীগের সাবেক সভাপতিসহ গ্রেফতার ৯ নওগাঁর ১নং ভাঁরশো ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ১ আসামি গ্রেফতার রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ আহত ২ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইটের মাপ কমিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাবনায় বালুবাহি ট্রলি চাঁপায় পুলিশ সদস্য নিহত ১জন আহত আটক ২জন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতি’র নতুন কমিটি গঠন রাজশাহীতে ভরা মৌসুমে সারের তীব্র সংকট! আলু বীজ রোপণ করতে পারছেন না চাষিরা! দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকা’র সাংবাদিক না ফেরার দেশে চলে গেলেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা চেক বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান

Reading Time: 2 minutes

শেখ মোঃ ইব্রাহীম, সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ১৭৪ জন। শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস একজন শিক্ষককেই সামলাতে হচ্ছে ক্লাস। একটি ক্লাসে শিক্ষক গেলে অন্য ক্লাসগুলো থাকে ফাঁকা। শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস করে চলেছেন একজন শিক্ষকই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে চলেছেন সহকারী শিক্ষক শেফালী বেগম। ২০১৮ সাল থেকে ১ জন শিক্ষক দিয়েই জোড়াতালির মাধ্যমে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকা সত্তে¦ও ঐ বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষক জয়ন্ত কুমার ধরকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আনা হয়েছে। যার কারণে বিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম বেঘাত ও বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক ৯ জন পদ থাকা সত্বেও রয়েছে মাত্র ৪ জন শিক্ষক । এদের মধ্যে সহকারী শিক্ষক মনি দাস গত আগষ্ট মাস থেকে মাতৃত্ব কালীন ছুটিতে রয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নার্গিস আক্তার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী টিনা আক্তার জানায়, শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস একজন শিক্ষককেই নিতেছে । অনেক সময় ম্যাডাম আমাদের পড়া দিয়ে আবার অন্য ক্লাসে চলে যায়। এ জন্য ম্যাডাম আমাদের পড়া ভালোভাবে আদায় করার আগেই ক্লাসের সময় চলে যায়। সামনে আমাদের পরীক্ষা, প্রস্তুতিও নেই তেমনটা। স্যার কম থাকায় অনেক ছাত্র অন্য বিদ্যালয়ে চলেও গেছে। শিক্ষক ঘাটতি থাকায় তাদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলেও তারা জানায়। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের কিন্ডার গার্টেনে নিয়ে পড়ালেখা করাচ্ছেন। এ বিষয়ে শাহজাদাপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জয়ন্ত ধর বলেন, আমাকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল আজিজ সাহেব শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করাচ্ছেন। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে যে নির্দেশ দেন তা আমার পালন করতে হয়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খাদেম বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও শিক্ষকদের অনুপস্থিতি বহু দিন যাবৎ এ সমস্যা চলছে। এলাকার অভিভাবকরা শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার জন্য আমার কাছে অনেক অভিযোগ করায় এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সাথে বহুবার আলোচনা করেছি, তবুও তাহারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেনা। এতে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা সুশিক্ষা গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল আজিজ বলেন, ১ জন শিক্ষক দ্বারা বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে এ বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। উপজেলা শিক্ষা অফিসে জনবল কম থাকায় মৌখিক নিন্দেশে এই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জয়ন্ত কুমার ধরকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কাজ করতে হয়। দেশে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হলে এ সমস্যা সমাধান করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com